এক নজরে পটিয়া উপজেলা
(পটিয়ার মানচিত্র) |
পটিয়া উপজেলা (চট্টগ্রাম জেলা) সহ ৩১৬.৪৭ বর্গকিলোমিটার, এর চারিদিকে কোতয়ালী এবং চান্দগাঁও থানা এবং এর উত্তরে বোয়ালখালী উপজেলা, দক্ষিণে চন্দনাইশ এবং আনোয়ারা উপজেলা, পূর্বে রাঙ্গুনিয়া এবং চন্দনাইশ, পশ্চিমে ডবলমুরিং এবং বন্দর থানা। প্রধান নদী কর্ণফুলী।
পটিয়া শহর ৯টি ওয়ার্ড এবং ৯ মহল্লা নিয়ে গঠিত। এর আয়তন ৯.৯৬ বর্গ কিলোমিটার। জনসংখ্যা ৪৭৬২৫, পুরুষ ৫৫.৮৩% এবং মহিলা ৪৪.১%, জনসংখ্যার ঘনত্ব প্রতি বর্গ কিলোমিটারে ৪৭৮২। শিক্ষার হার ৬২.৮%।
প্রশাসনিকভাবে পটিয়া থানা প্রতিষ্ঠিত হয় ১৮৪৫ খ্রিস্টব্দে এবং উপজেলা হিসেবে ১৯৮৪ ইংরেজিতে। এ উপজেলাতে একটি পৌরসভা, ৯টি ওয়ার্ড, ২৫টি ইউনিয়ন পরিষদ, ১২০ মৌজা, ১২৪টি গ্রাম রয়েছে।
ঐতিহ্যবাহী মসজিদের মধ্যে মুসা খান মসজিদ (হুলাইন, ১৬৫৮ খ্রি:), কুরা কান্তি মসজিদ (হরিণখাইন, ১৮০৬ খ্রি:), কালা মসজিদ (কচুয়াই, ষোড়শ শতক), সৈয়দ কুতুব মাজার (বড়লিয়া), বৌদ্ধ বিহার (হাইদগাঁও), বৌদ্ধ পদচিহ্ন টেম্পল (উনাইপুরা), বুড়া গোসাইর মন্দির এবং জগনাথ টেম্পল রয়েছে।
ঐতিহাসিক স্থানের মধ্যে কালারপুল প্রতি আক্রমণ ১৯৩০, স্বদেশ রায় ইংরেজ সৈনিকদের হাতে নিহত। এ আক্রমণে আহত হন দেবু প্রসাদ, রগাত সেন এবং মনোরঞ্জন সেন গ্রেফতার এড়াতে সুইসাইড করেন। ১৯৩৩ সালের ১৬ ফ্রেবুয়ারী কিশোর প্রভা বিশ্বাস এর নিজ বাড়ী গৈরলা হতে গ্রেফতার হন মাস্টারদা সূর্য সেন এবং ব্রজেন্দ্র সেন।
১৯৭১ সালের মুক্তিযুদ্ধের সময় অনেক বেসামরিক ব্যক্তি নিহত হন পাক বিমান বাহিনীর বোমাবর্ষণের কারণে। পাক-হানাদার বাহিনী অনেক ঘর-বাড়ি জ্বালিয়ে মুজাফরাবাদে গণহত্যা চালায় ৩ মে ১৯৭১।
ধর্মীয় প্রতিষ্ঠান:
মসজিদ = ৪৭৬, টম্ব= ৪১, টেম্পল= ৩৭, প্যাগোডা= ১, বুড্ডিস্ট মন্দির= ২১ এবং চার্জ ২।
জনসংখ্যা
৩৯৮৮৩৬, পুরুষ ৫২.১০%, মহিলা ৪৭.৯০%, মুসলিম ৬৯.৯%, হিন্দু ২৬.৩%, বৌদ্ধ ৩.৭% এবং অন্যান্য ০.১%
স্বাক্ষর হার
পুরুষ ৪৪.৩%, মহিলা ৩৬.৪%
শিক্ষা প্রতিষ্ঠান:
কলেজ- ১০টি, মেরিন একাডেমী- ১, মেরিন ফিশারিজ একাডেমী- ১, প্রাইমারী টিচার্স ট্রেনিং ইনস্টিটিউট-১, মাদরাসা ১৬টি, উচ্চ বিদ্যালয়- ৪৩টি, সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয়- ১৪৭, বেসরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয়- ১৬টি, স্যাটেলাইট এন্ড কমিউনিটি স্কুল- ২৫টি, কিন্ডারগার্টেন- ২
পটিয়া আদর্শ উচ্চ বিদ্যালয় (১৮৪৫), আবদুস ছোবহান রাহাত আলী উচ্চ বিদ্যালয় (১৯১৪), শশাঙ্খমালা সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয় (১৯৩৫), পটিয়া সরকারি ডিগ্রি কলেজ (১৯৬২), শাহচান্দ আউলিয়া মাদরাসা (১৯২৮), আল জামেয়াতুল ইসলামিয়া পটিয়া (১৯৩৭ এবং আবদুর রহমান সরকারি গার্লস উচ্চ বিদ্যালয় (১৯৫৭)।
স্থানীয়ভাবে প্রকাশিত সংবাদপত্র:
অভিবাণী, শঙ্খ, দক্ষিণ চট্টলা এবং রেছালাত।
সাংস্কৃতিক প্রতিষ্ঠান:
পাবলিক লাইব্রেরী- ২টি, ক্লাব- ৩৫টি, থিয়েটার গ্রুপ- ৪টি, সিনেমা হল- ৩টি, মহিলা প্রতিষ্ঠান- ২টি, পাঠাগার সমাজ- ২টি, শিশু-কিশোর সংগঠন- ৫টি, অন্যান্য সাংস্কৃতিক সংগঠন- ৮টি এবং জিমন্যাসিয়াম- ১টি।
প্রধান জীবিকা:
কৃষি- ১৭.৪৮%, বন- ১.৭৭%, মৎস্য- ২.১৭%
কৃষি শ্রমিক- ১৩.২৭%, মজুরি শ্রমিক- ৫.১৩%, বাণিজ্যিক ১৭.৯৫%, ইন্ডাষ্ট্রিয়াল লেবার ১.০৩%, ট্রান্সপোর্ট ৪.২৪%, কনস্ট্রাকশন- ১.৫১%, অন্যান্য- ১৮.০৩%।
ব্যবহৃত জমি- ১৫৪২৮.৭৫ হেক্টর, পতিত জমি ১১৯.৯৫ হেক্টর, এক ফসলী জমি ১০.৬০%, দুফসলী ৭০.৩৩%।
সেচের আওতায় আছে কৃষি জমি ৬১.৯৩%। ভূমিহীন কৃষক ২৫.১৯%, মার্জিনাল ৪০.২৭%, ক্ষুদ্র ২৭.৪৪%।
প্রধান উৎপাদিত শস্য: ধান, আলু, জিঞ্জার, বিটেল লিফ এবং শাকসবজি।
ফিশারিজ, ডেইরি, পোল্ট্রিস ফিশারী ৫, ডেইরী ৭১, পোল্ট্রি ৮৬১ এবং নার্সারি ১২২।
যোগাযোগ ব্যবস্থা:
পাকা রাস্তা- ২৬ কি:মিটার, সেমি পাকা- ৪২ কিলোমিটার, কাঁচা রাস্তা ২৮৩ কি:মি:, রেলওয়ে রাস্তা: ১৬ কি:মি:। পানিপথ ১৬ নটিক্যাল মাইল।
ম্যানুফ্যাকচারিং:
পাওয়ার স্টেশন-২, ড্রাই-ডক এন্ড ফিশিং বোট ডকইয়ার্ড- ২টি, স্টিল মিল- ৩টি, সিমেন্ট ফ্যাক্টরী- ২, টেক্সটাই মিল- ২টি, গার্মেন্টস ফ্যাক্টরী- ১টি, পলিফোম- ১টি, প্লাষ্টিক ইন্ডষ্ট্রিজ- ২টি, সেলিং ফ্যান ইন্ডাষ্ট্রিজ- ১টি, প্যাকেজ এন্ড বোর্ড- ২টি, ফুড এন্ড স্পাইস- ৫টি, আইস ফ্যাক্টরী- ১৮টি, ম্যাচ ফ্যাক্টরী- ১টি, সল্ট রিফাইনারী এন্ড ক্রাসিং- ৩০টি, রাইস এন্ড ফ্লোর মিল ১১ এবং ওয়েলডিং ৪১।
কুটির শিল্প:
ওয়েভিং- ৫১টি, ব্যাম্পো- ১১০টি, গোল্ডস্মিথ- ৮২টি, ব্লাকস্মিথ- ৬৪, পটারিজ- ১১৯, উড- ৬৫, সুইং- ১৩০।
হাট, বাজার এন্ড মেলা এবং বাজার ৪৩টি, থানা হাট, সফর আলী মুন্সি হাট এন্ড মুন্সেফ বাজার, মেলা- ১৮টি। জনপ্রিয় মেলার মধ্যে রয়েছে শ্রীমাই করাচেঙ্গি মেলা, ঠাকুরপুনি মেলা, মাহিরা ক্ষেত্রপাল মেলা প্রভৃতি।
পটিয়া শহর ৯টি ওয়ার্ড এবং ৯ মহল্লা নিয়ে গঠিত। এর আয়তন ৯.৯৬ বর্গ কিলোমিটার। জনসংখ্যা ৪৭৬২৫, পুরুষ ৫৫.৮৩% এবং মহিলা ৪৪.১%, জনসংখ্যার ঘনত্ব প্রতি বর্গ কিলোমিটারে ৪৭৮২। শিক্ষার হার ৬২.৮%।
প্রশাসনিকভাবে পটিয়া থানা প্রতিষ্ঠিত হয় ১৮৪৫ খ্রিস্টব্দে এবং উপজেলা হিসেবে ১৯৮৪ ইংরেজিতে। এ উপজেলাতে একটি পৌরসভা, ৯টি ওয়ার্ড, ২৫টি ইউনিয়ন পরিষদ, ১২০ মৌজা, ১২৪টি গ্রাম রয়েছে।
ঐতিহ্যবাহী মসজিদের মধ্যে মুসা খান মসজিদ (হুলাইন, ১৬৫৮ খ্রি:), কুরা কান্তি মসজিদ (হরিণখাইন, ১৮০৬ খ্রি:), কালা মসজিদ (কচুয়াই, ষোড়শ শতক), সৈয়দ কুতুব মাজার (বড়লিয়া), বৌদ্ধ বিহার (হাইদগাঁও), বৌদ্ধ পদচিহ্ন টেম্পল (উনাইপুরা), বুড়া গোসাইর মন্দির এবং জগনাথ টেম্পল রয়েছে।
ঐতিহাসিক স্থানের মধ্যে কালারপুল প্রতি আক্রমণ ১৯৩০, স্বদেশ রায় ইংরেজ সৈনিকদের হাতে নিহত। এ আক্রমণে আহত হন দেবু প্রসাদ, রগাত সেন এবং মনোরঞ্জন সেন গ্রেফতার এড়াতে সুইসাইড করেন। ১৯৩৩ সালের ১৬ ফ্রেবুয়ারী কিশোর প্রভা বিশ্বাস এর নিজ বাড়ী গৈরলা হতে গ্রেফতার হন মাস্টারদা সূর্য সেন এবং ব্রজেন্দ্র সেন।
১৯৭১ সালের মুক্তিযুদ্ধের সময় অনেক বেসামরিক ব্যক্তি নিহত হন পাক বিমান বাহিনীর বোমাবর্ষণের কারণে। পাক-হানাদার বাহিনী অনেক ঘর-বাড়ি জ্বালিয়ে মুজাফরাবাদে গণহত্যা চালায় ৩ মে ১৯৭১।
ধর্মীয় প্রতিষ্ঠান:
মসজিদ = ৪৭৬, টম্ব= ৪১, টেম্পল= ৩৭, প্যাগোডা= ১, বুড্ডিস্ট মন্দির= ২১ এবং চার্জ ২।
জনসংখ্যা
৩৯৮৮৩৬, পুরুষ ৫২.১০%, মহিলা ৪৭.৯০%, মুসলিম ৬৯.৯%, হিন্দু ২৬.৩%, বৌদ্ধ ৩.৭% এবং অন্যান্য ০.১%
স্বাক্ষর হার
পুরুষ ৪৪.৩%, মহিলা ৩৬.৪%
শিক্ষা প্রতিষ্ঠান:
কলেজ- ১০টি, মেরিন একাডেমী- ১, মেরিন ফিশারিজ একাডেমী- ১, প্রাইমারী টিচার্স ট্রেনিং ইনস্টিটিউট-১, মাদরাসা ১৬টি, উচ্চ বিদ্যালয়- ৪৩টি, সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয়- ১৪৭, বেসরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয়- ১৬টি, স্যাটেলাইট এন্ড কমিউনিটি স্কুল- ২৫টি, কিন্ডারগার্টেন- ২
পটিয়া আদর্শ উচ্চ বিদ্যালয় (১৮৪৫), আবদুস ছোবহান রাহাত আলী উচ্চ বিদ্যালয় (১৯১৪), শশাঙ্খমালা সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয় (১৯৩৫), পটিয়া সরকারি ডিগ্রি কলেজ (১৯৬২), শাহচান্দ আউলিয়া মাদরাসা (১৯২৮), আল জামেয়াতুল ইসলামিয়া পটিয়া (১৯৩৭ এবং আবদুর রহমান সরকারি গার্লস উচ্চ বিদ্যালয় (১৯৫৭)।
স্থানীয়ভাবে প্রকাশিত সংবাদপত্র:
অভিবাণী, শঙ্খ, দক্ষিণ চট্টলা এবং রেছালাত।
সাংস্কৃতিক প্রতিষ্ঠান:
পাবলিক লাইব্রেরী- ২টি, ক্লাব- ৩৫টি, থিয়েটার গ্রুপ- ৪টি, সিনেমা হল- ৩টি, মহিলা প্রতিষ্ঠান- ২টি, পাঠাগার সমাজ- ২টি, শিশু-কিশোর সংগঠন- ৫টি, অন্যান্য সাংস্কৃতিক সংগঠন- ৮টি এবং জিমন্যাসিয়াম- ১টি।
প্রধান জীবিকা:
কৃষি- ১৭.৪৮%, বন- ১.৭৭%, মৎস্য- ২.১৭%
কৃষি শ্রমিক- ১৩.২৭%, মজুরি শ্রমিক- ৫.১৩%, বাণিজ্যিক ১৭.৯৫%, ইন্ডাষ্ট্রিয়াল লেবার ১.০৩%, ট্রান্সপোর্ট ৪.২৪%, কনস্ট্রাকশন- ১.৫১%, অন্যান্য- ১৮.০৩%।
ব্যবহৃত জমি- ১৫৪২৮.৭৫ হেক্টর, পতিত জমি ১১৯.৯৫ হেক্টর, এক ফসলী জমি ১০.৬০%, দুফসলী ৭০.৩৩%।
সেচের আওতায় আছে কৃষি জমি ৬১.৯৩%। ভূমিহীন কৃষক ২৫.১৯%, মার্জিনাল ৪০.২৭%, ক্ষুদ্র ২৭.৪৪%।
প্রধান উৎপাদিত শস্য: ধান, আলু, জিঞ্জার, বিটেল লিফ এবং শাকসবজি।
ফিশারিজ, ডেইরি, পোল্ট্রিস ফিশারী ৫, ডেইরী ৭১, পোল্ট্রি ৮৬১ এবং নার্সারি ১২২।
যোগাযোগ ব্যবস্থা:
পাকা রাস্তা- ২৬ কি:মিটার, সেমি পাকা- ৪২ কিলোমিটার, কাঁচা রাস্তা ২৮৩ কি:মি:, রেলওয়ে রাস্তা: ১৬ কি:মি:। পানিপথ ১৬ নটিক্যাল মাইল।
ম্যানুফ্যাকচারিং:
পাওয়ার স্টেশন-২, ড্রাই-ডক এন্ড ফিশিং বোট ডকইয়ার্ড- ২টি, স্টিল মিল- ৩টি, সিমেন্ট ফ্যাক্টরী- ২, টেক্সটাই মিল- ২টি, গার্মেন্টস ফ্যাক্টরী- ১টি, পলিফোম- ১টি, প্লাষ্টিক ইন্ডষ্ট্রিজ- ২টি, সেলিং ফ্যান ইন্ডাষ্ট্রিজ- ১টি, প্যাকেজ এন্ড বোর্ড- ২টি, ফুড এন্ড স্পাইস- ৫টি, আইস ফ্যাক্টরী- ১৮টি, ম্যাচ ফ্যাক্টরী- ১টি, সল্ট রিফাইনারী এন্ড ক্রাসিং- ৩০টি, রাইস এন্ড ফ্লোর মিল ১১ এবং ওয়েলডিং ৪১।
কুটির শিল্প:
ওয়েভিং- ৫১টি, ব্যাম্পো- ১১০টি, গোল্ডস্মিথ- ৮২টি, ব্লাকস্মিথ- ৬৪, পটারিজ- ১১৯, উড- ৬৫, সুইং- ১৩০।
হাট, বাজার এন্ড মেলা এবং বাজার ৪৩টি, থানা হাট, সফর আলী মুন্সি হাট এন্ড মুন্সেফ বাজার, মেলা- ১৮টি। জনপ্রিয় মেলার মধ্যে রয়েছে শ্রীমাই করাচেঙ্গি মেলা, ঠাকুরপুনি মেলা, মাহিরা ক্ষেত্রপাল মেলা প্রভৃতি।
No comments:
Post a Comment