Sunday, February 12, 2012

পটিয়ায় শহীদ দৃষ্টি প্রতিবন্ধীর জায়গা
দখল করে নিয়েছি প্রভাবশালী মহল

চট্টগ্রামের পটিয়ায় হিন্দু সম্প্রদায়ের দৃষ্টি প্রতিবন্ধী (অন্ধ) একব্যক্তির পৈত্রিক সম্পত্তি প্রভাবশালীরা জোরপূর্বক দখল করে নেয়ার গুরুতর অভিযোগ পাওয়া গেছে। উপজেলার মুজাফরাবাদ গ্রামের প্রতিবন্ধী অনিল আচার্য্যের বেশ কিছু জায়গা দখল করে নেয়ায় বর্তমানে পরিবারটি মানবেতর জীবনযাপন করছেন। পার্শ্ববতী উপজেলা চন্দনাইশের এলাহাবাদ গ্রামের প্রভাবশালী এয়ার মুহাম্মদসহ দখলকারীদের বিরুদ্ধে একাধিক অভিযোগ করেও কোন সুরহা পাচ্ছে না বলে অভিযোগ ওঠেছে। প্রতিবন্ধী অনিল আচার্য্য ওইসব ভুমিদস্যুদের অত্যাচার সহ্য করতে না পেরে শেষ পর্যন্ত আত্মহত্যা করবেন বলে হুমকি দেন।  তিনি মুজাফরাবাদ গ্রামের বৃটিশ সেনা সদস্য শহীদ কৃষ্ণচরণ আচার্যের পুত্র। হিন্দু সম্প্রদায়ের প্রতিবন্ধীর এসব জায়গা জোরপূর্বক দখলে নেয়ার ঘটনায় হিন্দু-বৌদ্ধ-খৃষ্টান ঐক্য পরিষদ পটিয়া সভাপতি ডা. দিলীপ ভট্টাচার্র্য্য, পটিয়া উপজেলা পূজা উদযাপন পরিসদ সভাপতি তাপস কুমার দে নিন্দা ও ক্ষোভ প্রকাশ করেছেন। অবিলম্বে দখলকারীদের বিরুদ্ধে আইনগত ব্যবস্থা নিতে তারা প্রশাসনকে অনুরোধ জানান।
সংশ্লিষ্ট সূত্রে জানা গেছে, ১৯৭১ সালের ৩ মার্চ পাকিস্তানি হানাদার বাহিনী মুজাফরাবাদের অনিল আচার্য্যের পিতা কৃষ্ণচরণকে গুলি করে নির্মমভাবে হত্যা করে। ছোট বেলায় ‘ফক্স’ রোগে আক্রান্ত অনিল দৃষ্টি প্রতিবন্ধী হয়ে পড়লে অনিল আচার্য্যরে এসব সম্পত্তি প্রভাবশালীদের নজরে পড়ে। প্রভাবশালী মহল একের পর এক দখল করতে থাকে সম্পত্তি। বর্তমানে তার স্ত্রী পমিলা আচার্য্যও বয়সের ভারে ন্যুর্য হয়ে পড়েছে। এমনকি একা চলাফেরা পর্যন্ত করতে পারে না। এ সুযোগে অনিল আচার্য্যের পারিবারিক শ্মশানসহ বিভিন্ন স্থানের ৫০ শতক জায়গা দখল করে নেয় প্রভাবশালী মহল। অনিল আচার্য্য অভিযোগ করে বলেন, ১৯৭৩ সালে আমাকে রিলিফ দেওয়ার কথা বলে একটি দলিলে স্বাক্ষর নেন প্রতিপক্ষ ভুমিদস্যুরা। ইতোমধ্যে পুলিশসহ সরকারের উর্ধ্বতন কতৃপক্ষকে একাধিক বার অবহিত করেও কোন সুরহা পাননি বলে তিনি অভিযোগ করেন।
এ ব্যাপারে অভিযুক্ত এয়ার মুহাম্মদের সঙ্গে ফোনে যোগাযোগ করা হলে তিনি বলেন, প্রতিবন্ধী অনিল আচার্য্যরে পাশ্ববর্তী বিপিন আচার্য্য থেকে ৫৪ শতক জায়গা কবলামুলে খরিদ করি। জোরপূর্বক জায়গা দখলের ব্যাপারে যে অভিযোগ করা হচ্ছে তা সঠিক নয়। বিরোধী সম্পত্তি নিয়ে পটিয়া সাব জজ আদালতে একটি মামলাও বিচারাধীন রয়েছে। # ১২.২.২০১২

No comments:

Post a Comment