পটিয়া পৌরসভার কার্যক্রম অস্থায়ী ভবনে ২৩ বছর পার নিজস্ব ভবণ নির্মান করতে পারেনি পৌর কতৃপক্ষ॥
নজরুল ইসলাম, পটিয়া॥ চট্টগ্রামের পটিয়া পৌর সভা প্রতিষ্টা হওয়ার প্রায় ২৩ বছর অতিবাহিত হলেও এখনো পর্যন্ত কোন নিজস্ব ভবন নির্মান করতে পারেনি পৌর কতৃপক্ষ। সাবেক ম্যাজিষ্ট্রট কোট ভবনে অস্থায়ীভাবে কেটে গেল এতটা বছর। দেশের প্রথম শ্রেনীর পৌরসভার মধ্যে পটিয়াও একটি আগামীতেও পৌর ভবন দেখতে পাবে কিনা হবে সন্দেহ আছে পৌরবাসীর।পটিয়া পৌর ভবন না থাকার কারনে বিভিন্ন নাগরিক সুবিধা থেকেও বঞ্চিত। জানা যায় তৎকালিন বিএনপি দলীয় পটিয়ার সাবেক সাংসদ গাজী মোহাম্মদ শাহজাহান জুয়েল ২০০৬ সালে জুলাই মাসে পৌর ভবণ নির্মান করার জন্য এক কোটি টাকার একটি চেক প্রদান করে ভিত্তি প্রস্তর স্থাপন করলেও ভুমি নিয়ে জটিলতার কারনে কাজ করকে পারেনি। অধ্যবদিও ভবন নির্মান কাজের আলোর মুখ দেখাতে পারেনি পৌর কতৃপক্ষ। পটিয়া পৌরসভা ১৯৮৯ সালের জাতীয় পার্টি এরশাদ সরকারের শেষের দিকে জাতীয় পার্টি কেন্দ্রীয় ভাইস চেয়ারম্যান ও সাবেক পৌর চেয়ারম্যান শামসুল আলম মাষ্ঠারের প্রচেষ্ঠায় পটিয়া পৌরসভা প্রতিষ্ঠা হয়।পটিয়া পৌরসভা প্রতিষ্ঠা হওয়ার পর ১৯৯০ সালের দিকে পটিয়া পৌর প্রসাশকের দায়িত্ব পালন করছেন তৎকালিন বিএনপি নেতা মোহাম্মদ আলী,এর পর দুইবার পৌর চেয়ারম্যানের দায়িত্ব পালন করছেন জাতীয় পার্টির কেন্দ্রীয় ভাইস চেয়ারম্যান আলহাজা¦ শামসুল আলম মাস্টার, গত বিএনপি-জামায়াত জোট সরকারের সময় পটিয়া পৌর মেয়র নির্বাচিত হন বিএনপি নেতা আলহাজ্ব নুরুল ইসলাম সওদাগর, সর্বশেষ ২০১১ সালে পটিয়া পৌর মেয়র নিবাচিত হন আ’লীগ নেতা অধ্যাপক হারুনুর রশীদ।
পটিয়া পৌরসভা প্রতিষ্ঠা হওয়ার পর ১৯৯০ সালের দিকে সাবেক ম্যাজিস্ট্রেট কোর্ট ভবনকে অস্থায়ীভাবে পটিয়া পৌর সভার কার্যক্রম শুরু করার জন্য গণ পূর্ত মন্ত্রনালয়ের অনুমতি নিয়ে কাজ শুরু করলেও দীর্ঘ ২৩ বছরের কোন খানে জায়াগা না পাওয়ায় অজুহাতে পৌর কতৃপক্ষ এখনো সেখানে কাজ চালিয়ে যাচ্ছে। পটিয়া পৌর সভার মেয়রের আসনে বিভিন্ন দলের ব্যক্তিরা বিভিন্ন সরকারের সময়ে নির্বাচিত হলেও কেউ ২৪ বছরের মধ্যে পটিয়া পৌর সভার জন্য নিজস্ব ভবন নির্মান করতে পারেনি।
দীর্ঘ দিনের পটিয়া পৌর সভার নিজস্ব ভবন না হওয়ার কারনে পৌরবাসীদের এক ধরনের ক্রোভ সৃষ্ঠি হয়েছে নিজস্ব ভবণ না থাকার কারনে পৌরবাসী বিভিন্ন সেবা থেকেও বঞ্চিত হচ্ছে ।
পটিয়া পৌর ছাত্র পরিষদের আহবায়ক এ জেট এম আহমেদ উল্লাহ বলেন, ১৪ নং বোর্ড অফিসকে পৌরসভা অফিস হওয়ার কথা থাকলেও তা না করায় এখন বেদখলে আছে, য্যেগ্য নেতৃত্বের অভাবে দীর্ঘ দিন পরও কতৃপক্ষ অবহেলায় পৌর ভবন নির্মান করতে পারেনি।
সাবেক পৌর চেয়ারম্যান ও জাতীয় পার্টির কেন্দ্রীয় ভাইস চেয়ারম্যান আলহাজ্ব শামসুল আলম মাস্টার বলেন, আমি চেয়ারম্যান থাকলেও রাষ্ট্র ক্ষমতায় জাতীয় পার্টি না থাকায় পৌর ভবন নির্মান করতে পারেনি, অথচ আমি যেগুলো কাজ করেছি সেগুলো আগামী ২০ বছর যারা পটিয়া পৌর সভায় মেয়র নির্বাচিত হবে তারা করতে পারে না।
পটিয়া পৌর মেয়র অধ্যাপক হারুনুর রশীদ বলেন পৌর ভবনের জন্য সরকার ৫৩ শতক জায়গা ও এক কোটি ৫৩ লক্ষ টাকার ফান্ড দিয়েছে, আগামী এক বছরের মধ্যে পটিয়া পৌর ভবন নির্মান করা হবে।
................................................নজরুল ইসলাম, পটিয়া প্রতিনিধি, দৈনিক সংবাদ।
নজরুল ইসলাম, পটিয়া॥ চট্টগ্রামের পটিয়া পৌর সভা প্রতিষ্টা হওয়ার প্রায় ২৩ বছর অতিবাহিত হলেও এখনো পর্যন্ত কোন নিজস্ব ভবন নির্মান করতে পারেনি পৌর কতৃপক্ষ। সাবেক ম্যাজিষ্ট্রট কোট ভবনে অস্থায়ীভাবে কেটে গেল এতটা বছর। দেশের প্রথম শ্রেনীর পৌরসভার মধ্যে পটিয়াও একটি আগামীতেও পৌর ভবন দেখতে পাবে কিনা হবে সন্দেহ আছে পৌরবাসীর।পটিয়া পৌর ভবন না থাকার কারনে বিভিন্ন নাগরিক সুবিধা থেকেও বঞ্চিত। জানা যায় তৎকালিন বিএনপি দলীয় পটিয়ার সাবেক সাংসদ গাজী মোহাম্মদ শাহজাহান জুয়েল ২০০৬ সালে জুলাই মাসে পৌর ভবণ নির্মান করার জন্য এক কোটি টাকার একটি চেক প্রদান করে ভিত্তি প্রস্তর স্থাপন করলেও ভুমি নিয়ে জটিলতার কারনে কাজ করকে পারেনি। অধ্যবদিও ভবন নির্মান কাজের আলোর মুখ দেখাতে পারেনি পৌর কতৃপক্ষ। পটিয়া পৌরসভা ১৯৮৯ সালের জাতীয় পার্টি এরশাদ সরকারের শেষের দিকে জাতীয় পার্টি কেন্দ্রীয় ভাইস চেয়ারম্যান ও সাবেক পৌর চেয়ারম্যান শামসুল আলম মাষ্ঠারের প্রচেষ্ঠায় পটিয়া পৌরসভা প্রতিষ্ঠা হয়।পটিয়া পৌরসভা প্রতিষ্ঠা হওয়ার পর ১৯৯০ সালের দিকে পটিয়া পৌর প্রসাশকের দায়িত্ব পালন করছেন তৎকালিন বিএনপি নেতা মোহাম্মদ আলী,এর পর দুইবার পৌর চেয়ারম্যানের দায়িত্ব পালন করছেন জাতীয় পার্টির কেন্দ্রীয় ভাইস চেয়ারম্যান আলহাজা¦ শামসুল আলম মাস্টার, গত বিএনপি-জামায়াত জোট সরকারের সময় পটিয়া পৌর মেয়র নির্বাচিত হন বিএনপি নেতা আলহাজ্ব নুরুল ইসলাম সওদাগর, সর্বশেষ ২০১১ সালে পটিয়া পৌর মেয়র নিবাচিত হন আ’লীগ নেতা অধ্যাপক হারুনুর রশীদ।
পটিয়া পৌরসভা প্রতিষ্ঠা হওয়ার পর ১৯৯০ সালের দিকে সাবেক ম্যাজিস্ট্রেট কোর্ট ভবনকে অস্থায়ীভাবে পটিয়া পৌর সভার কার্যক্রম শুরু করার জন্য গণ পূর্ত মন্ত্রনালয়ের অনুমতি নিয়ে কাজ শুরু করলেও দীর্ঘ ২৩ বছরের কোন খানে জায়াগা না পাওয়ায় অজুহাতে পৌর কতৃপক্ষ এখনো সেখানে কাজ চালিয়ে যাচ্ছে। পটিয়া পৌর সভার মেয়রের আসনে বিভিন্ন দলের ব্যক্তিরা বিভিন্ন সরকারের সময়ে নির্বাচিত হলেও কেউ ২৪ বছরের মধ্যে পটিয়া পৌর সভার জন্য নিজস্ব ভবন নির্মান করতে পারেনি।
দীর্ঘ দিনের পটিয়া পৌর সভার নিজস্ব ভবন না হওয়ার কারনে পৌরবাসীদের এক ধরনের ক্রোভ সৃষ্ঠি হয়েছে নিজস্ব ভবণ না থাকার কারনে পৌরবাসী বিভিন্ন সেবা থেকেও বঞ্চিত হচ্ছে ।
পটিয়া পৌর ছাত্র পরিষদের আহবায়ক এ জেট এম আহমেদ উল্লাহ বলেন, ১৪ নং বোর্ড অফিসকে পৌরসভা অফিস হওয়ার কথা থাকলেও তা না করায় এখন বেদখলে আছে, য্যেগ্য নেতৃত্বের অভাবে দীর্ঘ দিন পরও কতৃপক্ষ অবহেলায় পৌর ভবন নির্মান করতে পারেনি।
সাবেক পৌর চেয়ারম্যান ও জাতীয় পার্টির কেন্দ্রীয় ভাইস চেয়ারম্যান আলহাজ্ব শামসুল আলম মাস্টার বলেন, আমি চেয়ারম্যান থাকলেও রাষ্ট্র ক্ষমতায় জাতীয় পার্টি না থাকায় পৌর ভবন নির্মান করতে পারেনি, অথচ আমি যেগুলো কাজ করেছি সেগুলো আগামী ২০ বছর যারা পটিয়া পৌর সভায় মেয়র নির্বাচিত হবে তারা করতে পারে না।
পটিয়া পৌর মেয়র অধ্যাপক হারুনুর রশীদ বলেন পৌর ভবনের জন্য সরকার ৫৩ শতক জায়গা ও এক কোটি ৫৩ লক্ষ টাকার ফান্ড দিয়েছে, আগামী এক বছরের মধ্যে পটিয়া পৌর ভবন নির্মান করা হবে।
................................................নজরুল ইসলাম, পটিয়া প্রতিনিধি, দৈনিক সংবাদ।