সাবেক প্রধান বিচারপতি পটিয়ার সন্তান মুহাম্মদ ফজলুল
করিম এর জীবনী....
২০১০ সালের ০৮ ফেব্রুয়ারী দেশের ১৯তম প্রধান
বিচারপতি হিসেবে মোহাম্মদ ফজলুল করিমকে রাষ্ট্রপতি মো. জিল্লুর রহমান সংবিধানের
৯৫(১) অনুচ্ছেদে প্রদত্ত ক্ষমতাবলে এই নিয়োগ দেন। সাবেক প্রধান বিচারপতি মোহাম্মদ
তাফাজ্জাল ইসলাম ৭ ফেব্রুয়ারি অবসরের পর সুপ্রিমকোর্ট বাংলাদেশের ১৯তম প্রধান
বিচারপতি হিসেবে মুহাম্মদ ফজলুল করিম নিয়োগ পান এবং ২০১০ সালের ৩০সেপ্টেম্বর ১৯তম
বিচারপতির পদ থেকে অবসর গ্রহণ করেন। বিচারপতি মুহাম্মদ ফজলুল করিম এর অবসরের পর
২০তম প্রধান বিচারপতি হিসেবে এ.বি.এম. খাইরুল হক নিয়োগ পান।
বিচারপতি মোহাম্মদ ফজলুল করিম ১৯৪৩ সালের ৩০ সেপ্টেম্বর পটিয়া পৌরসভার সুচক্রদন্ডী গ্রামে জন্মগ্রহণ
করেন। তার পিতার নাম মরহুম আহমেদ কবীর, মায়ের নাম মরহুম সুনিয়া আরা বেগম এবং
বাংলা সাহিত্যের পুথিঁ সাধক মুন্সি আবদুল করিম সাহিত্য বিশারদ হচ্ছেন তার চাচা।
তিনি ১৯৫৮ সালে পটিয়া আদর্শ উচ্চ বিদ্যালয় থেকে মাধ্যমিক
পরীক্ষায় উত্তীর্ণ হন। এরপর
তত্কালীন ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের অধিভুক্ত চট্টগ্রাম কলেজ থেকে ১৯৬০ সালে আইএ ও ১৯৬২ সালে
বিএ পাস করেন।
তিনি ১৯৬৪ সালে ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়
থেকে আইনে স্নাতক ডিগ্রি ও ১৯৬৯ সালে লন্ডনের লিংকন ইন থেকে বার-অ্যাট-ল ডিগ্রি লাভ করেন।
১৯৬৫ সালে আইনজীবী হিসেবে চট্টগ্রাম বারের সনদ লাভ করেন তিনি। ১৯৭০
সালে তিনি হাইকোর্টের আইনজীবী হিসেবে তালিকাভুক্ত হন। এরপর ১৯৭৯ সালে আপিল বিভাগের
আইনজীবী হিসেবে তিনি তালিকাভুক্ত হন।
বিচারপতি মোহাম্মদ
ফজলুল করিম ১৯৮২-১৯৮৪ মেয়াদে সুপ্রিম কোর্টের আইনজীবী সমিতির সাধারণ সম্পাদক ও ১৯৯২ সালে
বাংলাদেশ বার কাউন্সিলের কার্যনির্বাহী কমিটির
সদস্য ছিলেন।
এ ছাড়াও তিনি নয়াদিল্লীভিত্তিক জুডিশিয়াল এডুকেশন অন জেন্ডার ইকুয়ালিটি
ইস্যুর এশিয়া প্যাসিফিক উপদেষ্টা পরিষদের সদস্য। আদালতের
প্রশাসন ও মামলা ব্যবস্থাপনা বিষয়ে তার মার্কিন যুক্তরাষ্ট্র, যুক্তরাজ্য, ভারত, পাকিস্তান, শ্রীলংকা ও নেপাল সফরের অভিজ্ঞতা
রয়েছে।
তিনি ১৯৯২ সালের ১ নভেম্বর
হাইকোর্টের অস্থায়ী বিচারপতি হিসেবে
নিয়োগ পান। এর দুই বছর পর ১৯৯৪ সালের ১ নভেম্বর
তিনি হাইকোর্টের স্থায়ী
বিচারপতি হন। তিনি ২০০১
সালের ১৫ মে আপিল বিভাগের বিচারপতি নিযুক্ত হন।
তথ্যসূত্র: Supreme Court of
Bangladesh justices
No comments:
Post a Comment